Dirilis Ertugrul Subtitle | Episode – 40
Dirilis Ertugrul | দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজটি অটোমান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম ওসমান এর পিতা আরতুগ্রুল গাজীর জীবন কাহিনীর উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যা ঐতিহাসিক বিবরণের উপর ভিত্তি করে। আরতুগ্রুল গাজী ইসলামের ইতিহাসে একজন পরিচিত ব্যক্তিত্ব।
আরতুগ্রুল গাজী ছিলেন অটোমান সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রথম ওসমান-এর পিতা। বলা হয় যে তিনি অটোমান সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন এবং আজও মুসলিম বিশ্বে গভীরভাবে সম্মানিত। আরতুগ্রুল গাজী আনুমানিক ১১৯১-১১৯৮ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে আহলাত শহরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পিতার নাম ছিল সুলেমান শাহ এবং মাতা ছিলেন হাইমে হাতুন।
ইতিহাসবিদরা আরতুগ্রুল গাজীকে প্রথম উসমানীয়দের সময় তার নাম ধারণ করা মুদ্রা থেকে শনাক্ত করেন।
আরতুগ্রুল গাজী ছিলেন কায়ী গোত্রের নেতা। কায়ী একটি অঘুজ তুর্কি বংশোদ্ভূত যাযাবর জাতি, যার প্রধান ছিলেন সুলাইমান শাহ। এই গোত্রের লোকেরা ছিলেন নিষ্ঠাবান মুসলমান। সুলাইমান শাহের নেতৃত্বগুণে তার গোত্রের লোকজন ছাড়াও অন্যান্য স্থানীয় লোকেরা তার নেতৃত্বের ছায়াতলে আসতে শুরু করে। চেঙ্গিস খানের আক্রমণের কারণে সবাই তখন নিজেদের নিরাপত্তার জন্য নিজের উপরই নির্ভর করতে বাধ্য হচ্ছিল। সুলাইমান শাহ তার জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শক্তি বৃদ্ধি করেন এবং তাদের কোনভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হতে না হয় সেই দিকে সতর্ক নজর রাখতেন।
খাওয়ারিজম সাম্রাজ্যের পতনের পর সুলাইমান শাহ খুব অল্প সময়ের মধ্যে অসংখ্য যোদ্ধা ও প্রচুর যুদ্ধ সামগ্রী সংগ্রহ করতে সক্ষম হন। ৬২১ হিজরিতে (১২২৪ খ্রিষ্টাব্দ) চেঙ্গিস খান সেলজুক সাম্রাজ্য আক্রমণের জন্য একটি বিশাল বাহিনী প্রেরণ করেন। সময়ের পরিক্রমায় সেলজুক সাম্রাজ্য তখন দুর্বল হয়ে পড়ছিল।
Dirilis Ertugrul | Video Server- 01
দিরিলিস আরতুগ্রুল সিরিজ সাবটাইটেল | অনুবাদঃ সুমন ইসলাম
পরিচালকঃ মেতিন গুনে, আকিফ ওজকান, হাকান আর্সলান।
স্ক্রিপ্টঃ মেহমেত বোজদাগ, আটিলা ইঞ্জিন
প্রযোজনাঃ মেহমেদ বোজদাগ
অভিনয়ে: এনজিন আলতান দুজিয়াতান, ইসরা বিলগিস, ইয়ামান তুমান, হুলইয়া দারচান, কান তাসানের, বারিশ বাঘচি, হুসাইন ওজাই, উগুর গুনেশ, কাপ্তান গুরমান, উসমান সয়কুত, সেরদার গোখান, চেঙ্গিয কশোকুন, হান্দে সুবাশি, দিদেম বালচিন, বুরচু কিরাতি, এরান সাকচি, মেহমেত চেভিক, হেকান ভানলি, নুরেত্তিন সোনামেয, চাভিত ছেতিন গুনার, তুরগুত তুনছাল্প, সেদাত সাভতাক, লেভেন্ত ওক্তেম, সেরদার দেনিয, বুরাক তেমিয, মেহমেত এমিন ইঞ্চি, গকান আতালে, হামিত দেমির, রেশাদ স্ত্রিক, ফাহরই অযতেযকান।
সিরিজ ভিডিওঃ ইউটিউব থেকে সংগৃহিত
অনুবাদ ও সাবটাইটেল পরিচালনায়ঃ সুমন ইসলাম
এপিসোডটি বাংলা সাবটাইটেলে দেখতে প্রথমে ভিডিওটি Play করুন এরপর ভিডিও প্লেয়ারের ডানদিক থেকে CC ক্লিক করে ভাষা নির্বাচন করুন।
সেলজুক সাম্রাজ্যের রাজধানী কোনিয়ার সিংহাসনে ছিলেন সুলতান আলাউদ্দিন কায়কোবাদ। এই সময়েই সুলাইমান শাহ জানতে পারেন যে মঙ্গোলরা আলাউদ্দিন কায়কোবাদের উপর হামলা চালিয়েছে। এই খবরে তিনি মর্মাহত হন। মুসলমান সুলতানের প্রতি তার গভীর সহানুভূতি ছিল। তাই তিনি সুলতান কায়কোবাদকে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে তার গোত্রকে রওয়ানা হতে বলেন।
এই সময়েই ঘটে এক অভূতপূর্ব ঘটনা। সেলজুক ও মঙ্গোলেরা যখন যুদ্ধ করছিল, সেখানে উপস্থিত হন সুলাইমান শাহের ছেলে আরতুগ্রুল গাজী। আরতুগ্রুল জানতেন না কোন পক্ষ কারা। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে দুর্বল পক্ষের হয়ে যুদ্ধ করবেন। মঙ্গোল বাহিনী ছিল দুরন্ত ও দুর্ধর্ষ। তারা সহজেই সেলজুক বাহিনীকে কোণঠাসা করে ফেলে। সৌভাগ্যক্রমে, তার এই সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণিত হয়। ৪৪৪ জন যোদ্ধা নিয়ে আরতুগ্রুল সেলজুকদের পক্ষে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। তাদের বীরত্বে শেষ পর্যন্ত মঙ্গোলরা টিকতে পারেনি।
হারতে বসা এক যুদ্ধে এমন অভাবনীয় সাফল্যে সুলতান কায়কোবাদ উল্লসিত হয়ে আরতুগ্রুল গাজীকে আলিঙ্গন করে তার আনন্দ প্রকাশ করেন। ঠিক তখনই সুলাইমান শাহ তার বাহিনী নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন। সুলতান আলাউদ্দিন কায়কোবাদ তাদের দুজনকেই পুরস্কৃত করেন। তিনি খুশি হয়ে কায়ি গোত্রের জন্য আঙ্গোরা (বর্তমান আংকারা) কারাকা দাগের জায়গা বরাদ্দ করেন এবং সুলাইমান শাহকে তার বাহিনীর সর্বাধিনায়ক নিযুক্ত করেন।
এখানে আলাউদ্দিন সেলজুকীর তীক্ষ্ণবুদ্ধি ও দূরদর্শিতার কথা স্বীকার করতেই হবে, তিনি আরতুগ্রুলকে সাম্রাজ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ এলাকাটি বরাদ্দ করেন। কনিয়া সাম্রাজ্য প্রথমে বেশ বড় ছিল, কিন্তু রোমান ও মঙ্গোলদের চাপের কারণে কনিয়া একেবারে ভগ্নদশা হওয়ার উপক্রম হয়েছিল এবং আয়তন ক্রমশ হ্রাস পেতে পেতে তা একটি ক্ষুদ্র রাজ্যের আকার ধারণ করেছিল, যার অস্তিত্ব যে কোন মুহূর্তে বিলীন হয়ে যেতে পারত।