Long Date & Time

সিরাজ-উদ-দৌলা; বাংলা-বিহার-ওড়িশার শেষ স্বাধীন নবাব

নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার জীবনী: সাহস, সংগ্রাম ও বিশ্বাসঘাতকতা এবং ইংরেজদের উত্থান

সিরাজ-উদ-দৌলা, পুরো নাম মির্জা মুহম্মদ সিরাজ-উদ-দৌলা, জন্মগ্রহণ করেন ১৭৩৩ সালে। তিনি বাংলা, বিহার এবং ওড়িশার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন। তার পিতা জাইন-উদ-দীন ছিলেন একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এবং তার মাতা আমিনা বেগম ছিলেন নবাব আলিবর্দি খানের কন্যা। সিরাজ-উদ-দৌলা ছোটবেলা থেকেই তার নানার সান্নিধ্যে বড় হয়েছেন এবং তার প্রিয় দৌহিত্র হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা – ছবি সংগৃহিত

নবাব হিসেবে উত্থান
১৭৫৬ সালে নবাব আলিবর্দি খানের মৃত্যুর পর, সিরাজ-উদ-দৌলা মাত্র ২৩ বছর বয়সে নবাবের পদে আসীন হন। তার উত্থান নিয়ে বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক প্রতিক্রিয়া ছিল। তার নিয়োগ নিয়ে নবাবের পরিবারের অন্য সদস্য এবং দরবারের কিছু উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা অখুশি ছিলেন।

চ্যালেঞ্জ এবং ইংরেজদের সাথে সংঘর্ষ
সিরাজ-উদ-দৌলার শাসনামলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও আলোচিত ঘটনা ছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে তার সংঘর্ষ। কোম্পানি কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামকে শক্তিশালী করতে থাকে এবং নবাবের আদেশ অমান্য করে। এর ফলে, সিরাজ-উদ-দৌলা ১৭৫৬ সালে কলকাতায় আক্রমণ করেন এবং এটি দখল করেন। এই ঘটনা ব্ল্যাক হোল অব কলকাতা নামে পরিচিত, যেখানে কিছু ব্রিটিশ বন্দী বন্দী অবস্থায় মারা যান।

ব্ল্যাক হোল অব কলকাতা: সিরাজ-উদ-দৌলার সাহসী পদক্ষেপ
ব্ল্যাক হোল অব কলকাতা (Black Hole of Calcutta) ছিল ১৭৫৬ সালের জুন মাসে ঘটে যাওয়া একটি মর্মান্তিক ঘটনা, যেখানে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার বাহিনী ব্রিটিশদের কলকাতা থেকে বিতাড়িত করে এবং কিছু ব্রিটিশ বন্দীকে একটি ছোট্ট কক্ষে আবদ্ধ করে রাখে। এই ঘটনাটি সিরাজ-উদ-দৌলার সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে ইতিহাসে পরিচিত। তবে, এই ঘটনা অনেক বিতর্কিত এবং বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখা হয় ১৭৫৬ সালের জুন মাসে, সিরাজ-উদ-দৌলা কলকাতায় আক্রমণ করেন এবং ফোর্ট উইলিয়ামকে দখল করেন। ব্রিটিশরা সিরাজ-উদ-দৌলার বাহিনীর বিপরীতে প্রতিরোধ করতে ব্যর্থ হয় এবং ফোর্ট উইলিয়াম অবিলম্বে আত্মসমর্পণ করে। নবাবের বাহিনী শহরের বিভিন্ন অংশে প্রবেশ করে এবং ব্রিটিশদের সম্পত্তি ও সম্পদ দখল করেন।

কলকাতার দখলের পর, নবাবের বাহিনী ১৪৬ জন ব্রিটিশ বন্দীকে ফোর্ট উইলিয়ামের একটি ছোট কক্ষে আবদ্ধ করে রাখে। এই কক্ষটি ছিল মাত্র ১৮x১৪ ফুট আকারের এবং এতে প্রায় ৬০ জনের বেশি লোকের বসবাসের উপযুক্ত স্থান ছিল না। এই কক্ষটি পরে “ব্ল্যাক হোল অব কলকাতা” নামে পরিচিত হয়। ১৭৫৬ সালের ২০ জুন রাতে, বন্দীরা এই ছোট কক্ষে আবদ্ধ ছিল এবং প্রচণ্ড গরম এবং অক্সিজেনের অভাবে অনেক বন্দী শ্বাসকষ্টে মারা যায়। বিভিন্ন সূত্রমতে, প্রায় ১২৩ জন বন্দী এই রাতের পর মারা যান এবং শুধুমাত্র ২৩ জন জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হন।

এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ব্রিটিশদের মধ্যে গভীর শোক ও ক্ষোভের সৃষ্টি করে। ব্ল্যাক হোল অব কলকাতা ঘটনার পর, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। রবার্ট ক্লাইভের নেতৃত্বে একটি বড় বাহিনী মাদ্রাজ থেকে কলকাতায় আসে এবং শহরটি পুনরুদ্ধার করে। পরবর্তীতে, পলাশীর যুদ্ধে সিরাজ-উদ-দৌলার পরাজয় ঘটে এবং ব্রিটিশরা বাংলায় তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে।

তবে, ব্ল্যাক হোল অব কলকাতা ঘটনাটি অনেক বিতর্কিত এবং এর সঠিক সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন যে এই ঘটনার বর্ণনা অতিরঞ্জিত এবং এর পেছনে ব্রিটিশদের নিজেদের স্বার্থরক্ষার প্রচেষ্টা ছিল। যদিও এই ঘটনা সিরাজ-উদ-দৌলার সাহসী পদক্ষেপ হিসেবে পরিচিত, তবে এর পেছনের আসল ঘটনা এবং এর প্রভাব নিয়ে আজও বিতর্ক রয়েছে। ব্ল্যাক হোল অব কলকাতা নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার সাহসী পদক্ষেপের একটি উদাহরণ। এই ঘটনা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে তার প্রতিরোধের প্রতীক হলেও, এর ফলে ব্রিটিশদের সাথে তার সংঘর্ষ তীব্র হয় এবং পলাশীর যুদ্ধে তার পরাজয়ের পথ সুগম করে। ব্ল্যাক হোল অব কলকাতা ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও বিতর্কিত ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে।

পলাশীর যুদ্ধ

পলাশীর যুদ্ধ (Battle of Plassey) বাংলা, বিহার, এবং ওড়িশার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা এবং ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মধ্যে ১৭৫৭ সালের ২৩ জুন সংঘটিত হয়েছিল। ১৭৫৭ সালে, ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রবার্ট ক্লাইভের নেতৃত্বে সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়। এই যুদ্ধে নবাবের প্রধান সেনাপতি মীর জাফর ব্রিটিশদের সাথে গোপনে চুক্তি করে নবাবের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেন। এর ফলে, সিরাজ-উদ-দৌলা এই যুদ্ধে পরাজিত হন ।  এই যুদ্ধটি বাংলা এবং ভারতের ইতিহাসে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনের ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়। পলাশীর যুদ্ধের মাধ্যমে ব্রিটিশরা ভারতে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে এবং পরবর্তী দুই শতাব্দীর জন্য ভারতবর্ষে উপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠা করে।

যুদ্ধের কারণ

পলাশীর যুদ্ধের পেছনে একাধিক কারণ ছিল। প্রধান কারণগুলো হলো:

  1. অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক স্বার্থ: ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় তাদের বাণিজ্যিক স্বার্থ সংরক্ষণ করতে চেয়েছিল। নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার অধীনে কোম্পানির বাণিজ্য ও স্বার্থ হুমকির মুখে পড়ে।
  2. কেল্লা নির্মাণ ও সুরক্ষা: সিরাজ-উদ-দৌলা ব্রিটিশদের ওপর ক্ষুব্ধ হন যখন তারা কলকাতার ফোর্ট উইলিয়ামকে সুরক্ষিত করতে কাজ শুরু করে, যা নবাবের অনুমতি ছাড়া করা হয়েছিল।
  3. ব্রিটিশদের প্রভাব ও আধিপত্য: নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ব্রিটিশদের ক্রমবর্ধমান প্রভাব ও আধিপত্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করতে চান।
পলাশীর যুদ্ধ – ছবি সংগৃহিত

যুদ্ধের ঘটনা

পলাশীর যুদ্ধের মূল ঘটনাগুলি নিম্নরূপ:

  1. প্রথম সংঘর্ষ: ১৭৫৬ সালে সিরাজ-উদ-দৌলা কলকাতা আক্রমণ করেন এবং ফোর্ট উইলিয়াম দখল করেন। এর ফলে “ব্ল্যাক হোল অব কলকাতা” নামে পরিচিত ঘটনা ঘটে, যেখানে কিছু ব্রিটিশ বন্দী বন্দী অবস্থায় মারা যান।
  2. ব্রিটিশ প্রতিক্রিয়া: এই ঘটনার পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি রবার্ট ক্লাইভের নেতৃত্বে পাল্টা অভিযান চালায়। তারা মাদ্রাজ থেকে একটি বড় বাহিনী নিয়ে কলকাতা পুনরুদ্ধার করে।
  3. মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতা: মীর জাফর ছিলেন সিরাজ-উদ-দৌলার প্রধান সেনাপতি এবং তার কাছের বিশ্বাসভাজন ব্যক্তি। কিন্তু নবাবের শাসনকালে বিভিন্ন কারণে মীর জাফর নবাবের প্রতি অসন্তুষ্ট হন। ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এই অসন্তুষ্টির সুযোগ নিয়ে মীর জাফরকে নবাব হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে নিজেদের পক্ষে টেনে নেয়। বাংলা, বিহার এবং ওড়িশার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধে তার প্রধান সেনাপতি মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে পরাজিত হন। পলাশীর যুদ্ধে সিরাজ-উদ-দৌলার প্রধান সেনাপতি মীর জাফর ব্রিটিশদের সাথে গোপনে চুক্তি করেন। এই ঘটনাটি বাংলা এবং ভারতের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ট্র্যাজিক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়। মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতা কেবল সিরাজ-উদ-দৌলার পতনের কারণ ছিল না, এটি ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জন্য ভারতবর্ষে উপনিবেশিক শাসনের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।
  4. পলাশীর যুদ্ধ: ২৩ জুন ১৭৫৭ সালে পলাশীর ময়দানে সিরাজ-উদ-দৌলার বাহিনী এবং রবার্ট ক্লাইভের নেতৃত্বাধীন ব্রিটিশ বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। নবাবের সেনাবাহিনী ৫০,০০০ সৈন্যের বিশাল বাহিনী নিয়ে উপস্থিত হয়, বিপরীতে ব্রিটিশদের মাত্র ৩,০০০ সৈন্য ছিল। কিন্তু মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতার ফলে নবাবের বাহিনী দুর্বল হয়ে পড়ে এবং পরাজিত হয়।

যুদ্ধের ফলাফল

পলাশীর যুদ্ধের ফলাফল বাংলার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল:

  1. সিরাজ-উদ-দৌলার পতন: নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা পালিয়ে যান, কিন্তু পরে ধরা পড়েন এবং ২ জুলাই ১৭৫৭ সালে তাকে হত্যা করা হয়।
  2. মীর জাফরের নবাব নিযুক্তি: মীর জাফর ব্রিটিশদের পক্ষে নবাব হিসেবে নিযুক্ত হন। কিন্তু তিনি ছিলেন ব্রিটিশদের একটি পুতুল শাসক, এবং প্রকৃত ক্ষমতা ছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে।
  3. ব্রিটিশ শাসনের প্রতিষ্ঠা: পলাশীর যুদ্ধের মাধ্যমে ব্রিটিশরা বাংলায় তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে এবং পরবর্তী দুই শতাব্দীর জন্য ভারতবর্ষে উপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠা করে। পলাশীর যুদ্ধের পর ব্রিটিশরা ভারতীয় রাজনীতিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে শুরু করে এবং তাদের সামরিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
  4. অর্থনৈতিক শোষণ: ব্রিটিশরা বাংলার সম্পদ শোষণ করতে থাকে, যার ফলে বাংলার অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ে। বাংলার জনগণ ব্রিটিশদের শাসনের অধীনে কঠোর শোষণের শিকার হয়।

পরাজয় এবং মৃত্যু
পলাশীর যুদ্ধ ছিল বাংলা ও ভারতবর্ষের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনের ঘটনা। এই যুদ্ধে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার পরাজয় ও ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিজয় ভারতের উপনিবেশিক শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে। পলাশীর যুদ্ধের ফলাফল বাংলার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সামাজিক জীবনে গভীর প্রভাব ফেলেছিল। যুদ্ধের পর সিরাজ-উদ-দৌলা পলায়ন করেন, কিন্তু পরে তিনি ধরা পড়েন এবং ২ জুলাই ১৭৫৭ সালে তাকে হত্যা করা হয়। তার মৃত্যুর পর, মীর জাফর নবাব হিসেবে সিংহাসন লাভ করেন এবং ব্রিটিশদের সাথে এক নতুন অধ্যায় শুরু হয় যা ভারতবর্ষে ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের ভিত্তি স্থাপন করে।

ব্রিটিশ শাসনের প্রতিষ্ঠা

পলাশীর যুদ্ধে নবাবের পরাজয়ের পর মীর জাফর ব্রিটিশদের পক্ষে নবাব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হন, কিন্তু প্রকৃত ক্ষমতা ছিল ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে। মীর জাফরের নবাব হিসেবে প্রতিষ্ঠা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিজয় ছিল। এর ফলে ব্রিটিশরা বাংলায় তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে এবং পরবর্তী দুই শতাব্দীর জন্য ভারতবর্ষে উপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠা করে। মীর জাফর ছিলেন ব্রিটিশদের একটি পুতুল শাসক, এবং তার শাসনামলে ব্রিটিশদের শোষণ ও অত্যাচার বেড়ে যায়।

লর্ড ক্লাইভ – ছবি সংগৃহিত

মীর জাফরের পরিণতি
মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতা তার নিজের জীবনেও সুপ্রতিষ্ঠিত সুখ নিয়ে আসেনি। ব্রিটিশদের সাথে তার সম্পর্কও পরবর্তীতে তিক্ত হয় এবং তাকে নবাবের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। মীর জাফর তার জীবনের শেষ সময়ে একাকী ও অসন্তুষ্ট অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

সিরাজ-উদ-দৌলার শাসনকাল অল্প হলেও এটি বাংলা ও ভারতবর্ষের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। তার সাহসী পদক্ষেপ এবং ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিরুদ্ধে লড়াই তাকে ইতিহাসে একটি স্মরণীয় ব্যক্তিত্ব করে তুলেছে। তার মৃত্যুর পর বাংলা ধীরে ধীরে ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের অধীনে চলে যায় এবং ভারতবর্ষে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটে। ইতিহাসে নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা বাংলার শেষ নবাব হিসেবে একটি ট্র্যাজিক হিরোর স্থান পেয়েছেন।

শেয়ার করুন

Select Language

Magazine
সেমন্তি সৌমির এক ঝলক; সোশ্যাল মিডিয়াতে ফ্যাশনের ঢেউ | Samonty Shoumi কনিকার সেলিব্রেটেড ফ্যাশন | আধুনিকতা ও ঐতিহ্যের সংমিশ্রণ | Model Konika ডিজে আভিলা | সৃজনশীলতার নতুন দিগন্তে এক উদীয়মান তারকা | DJ AVILA পিউ কাহার লাইফস্টাইল | ফ্যাশন, ফিটনেস এবং সাফল্যের এক দৃষ্টান্ত | Model Peu Kaha লালবাগ কেল্লার রহস্যময় ইতিহাস বিদায় সাদা ফানুস | আয়োশী আক্তার মাহিয়া শেখ হাসিনার পতন ও দেশত্যাগ Copa America Final 2024 | Argentina Vs Colombia Sonakshi Sinha And Zaheer Iqbal Fans Call Them Happy Couple মাউন্ট এভারেস্ট; পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গের রহস্য ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খান; সম্পর্কের রসায়ন ও বলিউডের বিতর্কিত অধ্যায় শাহরুখ খানের ম্যানেজার পূজা দাদলানি | তারকার মতোই বিলাসবহুল জীবন সেলিব্রিটি স্পটলাইটে সেমন্তী সৌমি

LIVE SERIES

Home
Magazine
Live
Episode
Music
Search
Scroll to Top